৯০ দশকের ধানমন্ডির লেক ঘেঁষা সেই রহস্যময় জাহাজ বাড়ি. যেটি এখন আর নেই
এক সময়ের ধানমন্ডি লেকে শোভা বাড়ানো সবার কাছে এই বাড়িটি ‘জাহাজ বাড়ি’ নামে পরিচিত ছিল। জাহাজের আদলে তৈরি হওয়ায় মানুষের মুখে মুখে হয়েছে ‘জাহাজ বাড়ি’নামটি। বাড়িটির হোল্ডিং নাম্বার ছিল ৫/এ, ৬০, ধানমন্ডি, ঢাকা। বাড়ির গেটের নেমপ্লেটে বাড়িটির নাম লেখা ‘চিশতিয়া প্যালেস’। উচ্চারণগত কারণে অনেকে এটিকে ‘খ্রিস্টিয়া প্যালেস’বলতেন।
এই বাড়ির মালিক ছিলেন একেএম আনোয়ারুল হক চৌধুরী নামের একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী স্থানীয়রা তাকে শের-ই-খাজা নামে চিনতেন, ধর্মীয় ভাবে খাজা মইনুদ্দীন চিশতির অনুসারী, একজন রহস্যময় ব্যাক্তি, ১৯৯৩ সালে আবাসিক ও দাপ্তরিক কাজে ব্যবহারের জন্য এই ভবনটি নির্মাণ করেন। কে ছিলেন এই তিনি. তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। কেউ পীর অথবা ভারতের চিশতিয়া দরবারের অনুসারী নামে জানেন আবার কেউ বা ব্যাবসায়ী, দেশের বা বিদেশের অনেক রাজনৈতিক উচ্চ মহলে তার বেশ সখ্যতা ছিল, অনেকেই এ বাড়িতে আসতেন।
এই ভবনটির সম্মুখভাগ জাহাজের মত হওয়ায় ভবনটিকে জাহাজবাড়ি বলা হত। যদিও নির্মাণের সময় ভবনটির নকশা জাহাজের মত ছিল না। পরবর্তীতে ধানমণ্ডি লেকের উন্নয়ন চলাকালে হাঁটার পথ নির্মাণের প্রয়োজন দেখা দিলে রাজউক কতৃক অবৈধ অংশ ভেংগে ফেলা হয় আর বাকি অংশে এই ভবনটির সীমানা জাহাজের আকারে পুনঃ নির্ধারণ করা হয়।
১৯৯৩ সালের কোনো এক সময় এই বাড়িটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। তার এক বছর পর ১৯৯৪ সালে বাড়িটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। তবে প্রথম দিকে বাড়িটির ডিজাইন জাহাজ আকৃতির ছিল না। নির্মাণের পর ঢাকা সিটি কর্পোরেশন বাড়িটির কিছু অংশ ভেঙে এর পাশ দিয়ে চলাচলের রাস্তা তৈরি করে। তখন বাড়ির মালিক বাড়িটির সীমানা প্রাচীর জাহাজ আদলে তৈরি করেন।
জাহাজবাড়িতে প্রতিষ্ঠিত ডব্লিউইপিডিও নামক একটি এনজিও কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। তবে, ২০১১ সালের পর এই এনজিওটির কর্মকাণ্ড আর পরিলক্ষিত হয়নি। ধারনা করা হয়ে থেকে যে ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠাতা শের-ই-খাজার মৃত্যুর পর এনজিওটির কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যায়।
নির্বাচিত নিবন্ধ
জনপ্রিয়
জনপ্রিয় বিভাগ
- সর্বশেষ
- উচ্চশিক্ষা
- ভ্রমণ
- ফটোগ্রাফি
- ব্যবসা
- লাইফস্টাইল
- স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
- খাবার-দাবার
- সংগীত
- খেলাধুলা